Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Widget

নাস্তিক | শাহীন আখতার

নাস্তিক

শাহীন আখতার

আর আটানব্বইজনের কী হয় জানি না, নানিমার কথা মনে হলে ইদানীং আমি অস্বস্তিতে ভুগি। কারণ আমরা নাতি-নাতনিরা কেউ তার নাম জানি না। আমাদের আড্ডায়, হাসি-কৌতুকে আচমকা তিনি হাজির হন, যেমন ভঙ্গিতে জিন্দা নানিমা কোলাহলমুখর চৌকাঠে এসে দাঁড়াতেন। পরক্ষণে কী ভেবে পান-টুকটুক জিব কেটে উল্টোমুখে চলেও যেতেন। এখানে বলে রাখি, আড়াল ছিল নানিমার পরমাত্মীয়, অবগুণ্ঠন নিত্যসঙ্গী। আমরা এখন সিগারেটের ধূম্রজালে, কথার মারপ্যাচে খুব করে কষে তাকে বেঁধে ফেলি। ডাঙায়-তোলা মৎস্যকন্যার মতো নানিমা অনভ্যস্ততায়, অবিশ্বাসে হাঁসফাঁস করেন।

আমাদের সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই । চোখের সামনে নানিমার ঊর্ধ্বাঙ্গের মায়াবী রূপ। আমরা সেদিকে ফটফটিয়ে চেয়ে থাকি। লকলকিয়ে ওঠে আমাদের জিবের ডগা। তখন একটা ঠ্যালাঠেলির মতো লেগে যায়। একই সঙ্গে আমাদের সবার জিব নড়তে থাকে। নিরানব্বই কণ্ঠে নানিমার গুণকীর্তন তখন প্রার্থনার মতো দুর্বোধ্য শোনায়। অন্যদিকে, মধ্যরাতের জমাট তন্দ্রা তাতে ফালাফালা হয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বাড়িগুলোতে ফটাফট বাতি জ্বলে ওঠে। আমাদের ঘিরে তখন কয়েক শ পাওয়ারের বাল্ব জ্বলে । এই তীব্র আলোয় নানিমার মায়াবী রূপ অন্তর্হিত হয়, বাকি রাতটুকু আমরা তাঁর নিম্নাঙ্গের কুৎসিত লেজ নিয়ে মচ্ছব করে কাটিয়ে দিই। এভাবে নিভৃতচারী নানিমা জীবনের পরপারে গিয়েও আমাদের অবকাশের সঙ্গী হন । আমাদের বাক্চাতুরীর লেলিহান শিখায় ঘি বর্ষণ করেন ।

এ বছর কোরবানি ঈদে প্যাক্ট করে আমরা সবাই নানিমার বাড়িতে হাজির হলাম । নানিমার বাড়িই বটে। নানাজানকে তো আর দেখিনি! জন্মের পর থেকে দেখে আসছি তার হাতের লাঠিটা। অবিকল ঢোঁড়া সাপের গায়ের মতো ঘিনঘিনে ডোরাকাটা। হাতল আর গোড়ালি রুপোয় বাঁধানো। দেউড়ি পেরিয়ে মাটির কোঠায় ঢুকতেই এই বিসদৃশ জিনিসটা দৃষ্টিপথ রোধ করে দাঁড়াত। ছোটবেলায় লাঠিটা দেখে দেখে একরকম হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । এই জড় পদার্থটি সময়ে সময়ে তর্জনী তুলে শাসায়! দেখলেই গা জ্বলে যায়। কিন্তু এই লাঠি দেখিয়ে মা-খালারা আমাদের উপদেশ দিতেন, ‘আব্বাজি বেঁচে থাকলে কোথায় যেত তোমাদের আরশ কাঁপানো হাসি আর বেপর্দা চালচলন। আল্লাহ উনাকে বেহেশতবাসী করুন। উনি গত হওয়ার পর এই লাঠিটাই আমাদের সঠিক পথে চালিত করেছে।'

নানিমা তখন মুখ আড়াল করে করুণ হাসেন। নিজের পেটের মেয়েরাও আজকাল চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা বলে! এই লাঠির কথা আর কেউ না জানুক, ওরা তো জানে। মাঝরাতে মায়ের আর্তনাদে ঘুম ভেঙে গেলে ম্যালেরিয়া রোগীর মতো ঠকঠক করে কেঁপেছে তো ওরাই ।

একদিন মেজো খালার একমাত্র আদরের ছেলে আর বড় মামার নাদুসনুদুস পুত্রটি এই লাঠি দিয়ে মাথা ফাটাফাটি করে দুজনেই হসপিটালাইজ্‌ড্ হয়। কিন্তু লাঠিটা অক্ষত। স্বস্থানে পুনরায় দাঁড়িয়ে নিষ্ঠুর হাসি হাসে। কিন্তু দুর্ঘটনাটি ঘটে আরো কিছু দিন পর । নানিমার গর্ভজাত চৌদ্দরত্নের দুই রত্ন অর্থাৎ মায়ের পেটের দুই ভাই, মুখ চালানোর পর লাঠি চালাতে গিয়ে আস্ত লাঠিটাই ভেঙে ফেলে। প্রবল ত্রাসে দুজনের ব্রহ্মতালু শুকিয়ে কাঠ। 

শুনেছি, সেদিন বাড়িসংলগ্ন মসজিদের পাঁচজন মুসল্লিকে নানিমা দশ সের চিনির বাতাসা খাইয়েছিলেন। আর ফকির-মিসকিনদের দান করেছিলেন পঞ্চাশ টাকার খুচরো পয়সা। মায়ের এই বাড়াবাড়িতে মামারা (বীরপুঙ্গব সেই দুই সহোদরসহ) বেজায় বিরক্ত হয়েছিলেন ।

নিরানব্বইজনের একজন হয়ে আমি কিনা এহেন নানিমার নামই জানি না! লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে আসে। দেখি, আমার পাশে খুঁটিতে বাঁধা কোরবানির ছাগী দুটি গা চুলকোচ্ছে। গলায় তাদের সোনার বরন জরির মালা। জরির খোঁচায় অনভ্যস্ত প্রাণী দুটির কেমন দিশেহারা ভাব ।

আচ্ছা, নানিমার বিয়েতে কি মালাবদল হয়েছিল? চারপাশে তো কাউকে দেখছি না। কাকে শুধাই? ব্যাগট্যাগ নামিয়ে সব গেল কোথায়? উঠোনের মাঝখানে আমি আর জরি-পীড়িত কোরবানির ছাগী দুটি। অগত্যা তাদের দিতে মনোযোগী হই ।

ভ্যা-বোলা প্রাণী দুটি খুঁটিবন্দী দশায় তড়পাচ্ছে, লাফাচ্ছে। তাদের বেতাল নৃত্যে দড়ির গায়ে খানকতক গিঁট পড়েছে। আমি উবু হয়ে গিঁট খুলতে গিয়ে নিজেই তাতে জড়িয়ে পড়ি। যতই তাড়া করি, ওরা আমার চারপাশে তাণ্ডব নৃত্য জুড়ে দেয়। অসহায় প্রাণীর কী হিংস্র আচরণ! আমি ভয় পেয়ে যাই। ততক্ষণে খুঁটির মর্মমূলে টান পড়েছে। ওরা দুজনে মিলে অপরিকল্পিত এক বিদ্রোহে সফল হতে চলেছে আমারই চোখের সামনে। আমি তাদের অক্ষম প্রতিপক্ষ-ছাগলের বুদ্ধিতেও তা বুঝে গেছে। আমি ভেতরে ভেতরে রেগে যাই—বছরখানেক আগে না হয় একজন পুরুষের কাছে পরাজিত হয়েছিলাম, তাই বলে এখন ছাগলের কাছেও হার মানতে হবে? আমার অন্তরচাপা গ্লানি দেখতে দেখতে দুর্বার রোষে পরিণত হয়। আমি চোখ পাকিয়ে এদিক-ওদিক তাকাই। মাটির কোঠায় দৃষ্টি পড়তেই বুকটা হিম হয়ে যায়। শূন্য জায়গাটি আমার দিকে তাকিয়ে চোখ মটকাচ্ছে, বিদ্রূপ করছে। শেষ পর্যন্ত আমিও ডোরাকাটা লাঠির দ্বারস্থ হয়েছিলাম! রক্তের দোষ হয়তো একেই বলে। নিজেকে অপরাধী মনে হয়। দড়ির বন্ধন মুক্ত হয়ে ক্লান্ত পায়ে চৌকাঠে গিয়ে বসি। নানিমার নির্জন ভিটেয় এক টুকরো দীর্ঘশ্বাস গভীর উপলব্ধি জড়িয়ে উঠে আসে—মানুষ আর ছাগলে কী এমন ফারাক! এখন ছাগী দুটি কোরবানি হতে চাইছে না, এ তো প্রাণীমাত্রের মৌলিক অধিকার। আমার বরঞ্চ তাদের সাহায্যই করা উচিত।

এদিকে খুঁটি অনেকটা আলগা হয়ে উঠে এসেছে। ওরা লক্ষ্যে অবিচল, নিষ্ঠায় স্পার্টাকাস। ওদের বেতাল নৃত্যের সঙ্গে খুঁটির ক্যাচক্যাচ আওয়াজ সংগত করছে। আর তালেতালে ওরা এগিয়ে চলেছে। ভবিষ্যৎ যদিও ধোঁয়াশে। কেননা এত বড় বাঁশের খুঁটি নিয়ে কতদূর আর যেতে পারবে। আমি শঙ্কিত হই । কিন্তু শাপগ্রস্তের মতো ওদের নাচের সঙ্গে তালি বাজিয়ে বাজিয়ে সংগত করতে থাকি 1

কোথা থেকে হাঁ হাঁ করে দৌড়ে আসে বাড়ির প্রবীণ ভৃত্য রহীম আলী । আমার দিকে চেয়ে দেখার ফুরসত তার নেই। হাতে পাতাসমেত বৃক্ষের ডাল। রহীম আলীর হামলে পড়া, ছাগলের গায়ে শপাং শপাং শব্দ—মুহূর্তেই উঠোনটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ।

আমি পায়ে পায়ে উঠে আসি। ততক্ষণে বিদ্রোহী ছাগী-জোড়া লাঞ্ছিত, পর্যুদস্ত। রহীম আলী নিবিষ্ট মনে খুঁটি পুঁতছে। যেন কিছুই ঘটেনি, এমন তার হাবভাব। কিন্তু আমি তো ঘণ্টাখানেক স্থায়ী এই অসফল বিদ্রোহের সাক্ষী! কী করে ভুলে যাই? তাতানো গলায় বলে উঠি, 'তুমি ওদের মারলে কেন?' রহীম আলীর পিঠে যেন কাঁচা ডালের বাড়ি পড়েছে, হাত থামিয়ে মুখ ঘুরিয়ে সে বলে, ‘মারব না, আদর করব? জানেন, ছাগী দুইটার দাম কত? আর কোরবানির মতো একটা পবিত্র কাজ।'

‘পবিত্র কাজ!' আমার কথা শুনে রহীম আলী তড়াক করে তাকায়। চোখের তারায় সন্দেহের ঝিলিক । আমি যেন এ বাড়ির কেউ না -কাফের একজন। দুই বছর হিন্দুর ঘর করে হিন্দু হয়ে ফিরেছি। রহীম আলীর চোখের ভাষা স্বচ্ছ। তরতরিয়ে পড়া যায়। আমি মুষড়ে পড়ি। এই রহীম আলীর কোলে-পিঠে চড়ে বড় হয়েছি। বর্ষার ভরা গাঙে ডিঙি নৌকার ভেসে বেড়ানো দেখেছি। উত্তর পাড়ায় দুর্গাপূজা দেখতে গেছি। পুজোমণ্ডপে সরস্বতীকে দেখিয়ে রহীম আলী বলেছিল, ‘তিনি বিদ্যাদেবী । যান, তেনার পা ছুঁয়ে সেলাম করেন। লেখাপড়া ভালো অইব।' অথচ আজ এই রহীম আলী আমাকে পর ভাবছে! ভাবছে আমি হিন্দু হয়ে গেছি! অনেকদিনের জমাট বাঁধা অভিমান রহীম আলীর চাঁছাছোলা দৃষ্টির উত্তাপে গলে যায়। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। আমি নাছোড়, ‘কাল দুটি ছাগলই কোরবানি হবে, রহীম ভাই?'

আমার কান্না-তোলা বিকৃত স্বর রহীম আলীকে অতীতে টেনে নিয়ে যায়, ‘আপনে ঠিক আগের মতোই আছেন। পশু-পক্ষীর দুঃখ সহ্য করতে পারেন না! আপনার জীবন চলব ক্যামনে?”

‘চলছে না, রহীম ভাই চলছে না।' বলেই জিব কাটি আর নিজের আচরণে নিজেই অবাক হই। এ আমি কী বললাম! শুধু তো চেয়েছিলাম রহীম আলী আমাকে পর না ভাবুক । তাই বলে এতটা কাঙালেপনা! ছি! গত ক' বছরে আমি ঠিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মতো স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছি। নিজের জীবন নিজে বেছে নিয়েছি। এ রকম দুর্বলতা তো ঠিক না। আমার শক্ত হওয়া উচিত।

'আচ্ছা, রহীম ভাই, ছাগী দুটোর নাম কী?' রহীম আলী ঘোর-ভেঙে হা-হা করে হেসে ওঠে। আমিও চোখে পানি নিয়ে খিলখিলিয়ে হাসি। রহীম আলী যতক্ষণ হাসে, আমিও ততক্ষণ হাসি। তারপর বলি, ‘রহীম ভাই, আমরা কেউ নানিমার নাম জানি না। তুমি বলতে পারো নানিমার নাম কী ছিল?'

রহীম আলীর দুচোখে আঁধার নামে, ‘তেনার নাম দিয়া আর কী অইব?' থেমে দম নিয়ে সে বলে চলে, ‘আল্লা চাহে তো উনি বেহেশতবাসী হবেন। মরার আগে একবারও আল্লার নাম নেন নাই। আল্লাজি আর কর্তাজির কথা উঠলে মুখ টিপে হাসতেন । সবাই কয়, শেষ বয়সে কর্তামার মাথা বিগড়ায় গেছিল।'

“নানিমা তখন কী কী করতেন?” আমার কৌতূহল বেড়ে যায়। 

রহীম আলী অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলে চলে, ‘আপনি তো তহন দেশে আছিলেন না । কর্তামারে দেখতেও আসেন নাই। অবিশ্যি তিনি কাউরে দেখতেও চান নাই । এত আদরের সব নাতি-নাতনি, নিজের কজি বেঁটে খাওয়াতেন, অথচ তখন সবাই য্যান্ তার চক্ষের বিষ। নাতি-নাতনিরে স্বীকারই করতেন না। ভাবতেন, কাল-পরশু তেনার শাদি অইছে। মেন্দি-আতরে সারা গা ম-ম ।'

'সেকি! নানিমার না পাঁচ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল। সব তিনি ভুলে গেলেন । মজার ব্যাপার তো!’

‘মজার ব্যাপার আর কী দেখছেন । আরো আছে। তয় শোনেন।' রহীম আলী জাঁক করে গল্পের ঝাঁপি খোলে, ‘পেটের ছেলেদের কর্তামা ভাবতেন চাচাশ্বশুর, মামাশ্বশুর। আপন শ্বশুর তো খোয়াব-পেরায়। বেশি দিন দ্যাহেন নাই যে! তো চাচাশ্বশুর, মামাশ্বশুরের কথা কয়ে, অনুনয়-বিনয় করেও দেহি—কর্তামার নামাজ কায়জা হয় । কী করি । কী করি। দিন-রাতের ঘুম হারাম-পেয়ায়। হঠাৎ একদিন খোদার অহি য্যান্ নাজেল হয়। মাথা থাইক্যা পাষাণ নামে। একখানা লাঠি জোগাড় করে দুলকি চালে কর্তামার ঘরে হাজির হই। চক্ষের পলকে কর্তামা সরসরিয়ে জায়নামাজে গিয়ে বসেন। বাইরে আসি—বুকের ছাতি ফুলে বিঘতখানেক। নিজেরে বাপের ব্যাটা, আল্লার বান্দা মনে অয়। চমক ভাঙে দুর্গন্ধের ঝাপটায়। নাক চেপে ঘরে ঢুকি। কর্তামা কাপড় নষ্ট করে খিলখিলিয়ে হাসছে, গড়াগড়ি দিচ্ছে। মখমলের জায়নামাজটার যে কী হাল! চক্ষে দেখা যায় না।'

ফুটো বেলুনের মতো রহীম আলী চুপসে যায়। একদম চুপ মেরে যায়। আহা নানিমার নাম! ও কখন আবার মুখ খুলবে? মনটা কেবল ঝটপটায়, নিশানা খোঁজে। কে জানে অভীষ্ট কত দূর! আমি হাল ছাড়ি না, “নানিমা এত বেহাল অবস্থায় মারা গেলেন, রহীম ভাই?'

আমার কথার জবাব না দিয়ে রহীম আলী ছাগী দুটোকে টানতে টানতে গোয়ালঘরের অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।

ছাগলের আর্তচিৎকারে গভীর রাতে ঘুম ভাঙে। কান পেতে শুনি – দুটি নয়, একটি ছাগল ডাকছে। অন্যটি ডাকছে না কেন? এই তাদের শেষ অস্ত্র। আবার কান পাতি। না, একটিই তো ডাকছে। তবে অন্যটির কী হবে? ডেকে উঠছে না কেন?

একটি ছাগীর যৌন আবেদন সারা বাড়ির সবাইকে ঘুমছাড়া করেছে। কী অলক্ষুনে কাণ্ড! কাল না কোরবানি ঈদ!

“নাস্তিক কর্তামার ভিটায় এর বেশি কী আশা করা যায়!' কাকভোরে গজরাতে গজরাতে রহীম আলী যৌনপীড়িত ছাগীটাকে হাজাম-বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। জোড়ার অন্যটি যাবে সকালবেলা কোরবানি হতে।

[ রচনাকাল : ১৯৯১ ]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ